CLASS-X

আলো Class 10 Notes Part 1 (প্রতিফলন অংশ)

SHARE

আলো Class 10 Notes Part1 (প্রতিফলন অংশ)

 

1. গোলীয় দর্পণের কয়েকটি বিষয়

গোলীয় দর্পণের কয়েকটি বিষয়- আলো Class 10 Notesমেরু (pole)- দর্পণের প্রতিফলক তলের মধ্যবিন্দুকে মেরু (P) বলে।
বক্রতা কেন্দ্র (centre of curvature)- গোলীয় দর্পণটি যে গোলকের অংশ সেই গোলকের কেন্দ্রকে দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র (C) বলে।
বক্রতা ব্যাসার্ধ (radius of curvature)- গোলীয় দর্পণটি যে গোলকের অংশ সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ (PC) বলে।
প্রধান অক্ষ (principal axis)- দর্পণের মেরু ও বক্রতা কেন্দ্রের সংযোগকারী সরলরেখাকে প্রধান অক্ষ (\overleftrightarrow{PC}) বলে।
উন্মেষ (aperture)- গোলীয় দর্পণের দুই প্রান্তবিন্দু সংযোগকারী রেখাকে রৈখিক উন্মেষ (MM’) বলে। গোলীয় দর্পণের দুই প্রান্তবিন্দু বক্রতা কেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে কৌণিক উন্মেষ (\angle MCM^\prime) বলে।

উপাক্ষীয় রশ্মি ও পরাক্ষীয় রশ্মি (paraxial ray and non-paraxial ray) Class 10 আলো Notes

উপাক্ষীয় রশ্মি ও পরাক্ষীয় রশ্মি (paraxial ray and non-paraxial ray)- যে রশ্মি প্রধান অক্ষের খুব কাছে অবস্থান করে অথবা প্রধান অক্ষের সাথে ক্ষুদ্র কোণ উৎপন্ন করে তাকে উপাক্ষীয় রশ্মি বলে। অন্যদিকে, যে রশ্মি প্রধান অক্ষ থেকে দূরে অবস্থান করে অথবা, প্রধান অক্ষের সাথে তুলনামূলক বৃহৎ কোণ উৎপন্ন করে তারা হল পরাক্ষীয় রশ্মি

মুখ্য ফোকাস (principal focus)-Class 10 আলো Notes

মুখ্য ফোকাস (principal focus)- প্রধান লক্ষ্যের সমান্তরাল রশ্মি গোলীয় দর্পণ দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে প্রধান অক্ষের যে বিন্দু থেকে আসছে বলে মনে হয় (উত্তল দর্পণের ক্ষেত্রে) অথবা প্রধান অক্ষের যে বিন্দুতে মিলিত হয় (অবতল দর্পণের ক্ষেত্রে) তাকে দর্পণের মুখ্য ফোকাস (F) বলে।

2.বক্রতা ব্যাসার্ধ (r) ও ফোকাস (f)-এর মধ্যে সম্পর্ক

2.1 উত্তল দর্পণের ক্ষেত্রে বক্রতা ব্যাসার্ধ (r) ও ফোকাস (f)-এর মধ্যে সম্পর্ক

2.2 অবতল দর্পণের ক্ষেত্রে বক্রতা ব্যাসার্ধ (r) ও ফোকাস (f)-এর মধ্যে সম্পর্ক

 

3. গোলীয় দর্পণে আলোর প্রতিফলনের জন্য প্রতিবিম্ব গঠন-

  • প্রতিবিম্ব গঠনের নিয়ম-

নিয়ম 1- প্রধান অক্ষের সমান্তরাল রশ্মি গোলীয় দর্পণ দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে ফোকাস দিয়ে যায় (অবতল দর্পণ) অথবা ফোকাস থেকে আসছে বলে মনে হয় (উত্তল দর্পণ)।
নিয়ম 2- ফোকাস বিন্দুগামী রশ্মি দর্পণ দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে প্রধান অক্ষের সমান্তরাল হয়।
নিয়ম 3- বক্রতা কেন্দ্রগামী রশ্মি গোলীয় দর্পণ দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে আগের পথেই ফিরে যায়।

গোলীয় দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের জন্য উপরের যেকোনো দুটি নিয়ম মানলেই প্রতিবিম্ব গঠন করা সম্ভব হবে।

3.1 অবতল দর্পণ

3.1.1 বস্তু যখন অসীমে- 

অসীমের অবস্থান করলে বস্তু থেকে আগত রশ্মিগুলি পরস্পরের সমান্তরাল হবে। এই অবস্থায় আলোকরশ্মি অবতল দর্পণ দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে ফোকাস তলে মিলিত হবে। ফলে, অসীমে অবস্থানকারী বস্তুর অবতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বটি ফোকাসেই তৈরি হবে।

3.1.2 বস্তু যখন অসীম ও বক্রতা কেন্দ্রের মাঝে অবস্থিত-

প্রতিবিম্বের অবস্থান- ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের মাঝামাঝি প্রতিবিম্বটি সদ্‌, অবশীর্ষ, বস্তুর তুলনায় ছোটো।

3.1.3 বস্তু যখন বক্রতা কেন্দ্রে অবস্থিত-

প্রতিবিম্বের অবস্থান- বক্রতা কেন্দ্র।  প্রতিবিম্বটি সদ্‌, অবশীর্ষ, বস্তুর সমান আকারবিশিষ্ট।

3.1.4 বস্তু যখন ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের মাঝে অবস্থিত-

প্রতিবিম্বের অবস্থান- বক্রতা কেন্দ্র ও অসীমের মাঝামাঝি। প্রতিবিম্বটি সদ্‌, অবশীর্ষ, আকারে বড়।

3.1.5 বস্তু যখন ফোকাসে অবস্থিত-

প্রতিবিম্বের অবস্থান- অসীমে। প্রতিবিম্বটি সদ্‌, অবশীর্ষ, আকারে আসীমভাবে বিবর্ধিত।

3.1.6 বস্তু যখন মেরু ও ফোকাসের মাঝামাঝি অবস্থিত-


প্রতিবিম্বের অবস্থান- দর্পণের ভিতরে। প্রতিবিম্বটি অসদ্‌, সমশীর্ষ, আকারে বড়।

3.2 উত্তল দর্পণ


প্রতিবিম্বের অবস্থান- দর্পণের ভিতরে। প্রতিবিম্বটি অসদ্‌, সমশীর্ষ, আকারে ছোটো।

অবতল দর্পণের ব্যবহার- গাড়ির হেড লাইট, দূরবীণ, দন্ত চিকিৎসায়।
উত্তল দর্পণের ব্যবহার- গাড়ির ভিউ ফাইন্ডার, স্ট্রিট লাইটে।

SHARE

Related Posts

কঠিন পদার্থের আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক

কঠিনের প্রসারণ

1. সূচনা- বস্তুতে তাপ প্রয়োগ করলে  বস্তুতে অবস্থিত  অণুগুলির আরো বেশি গতিশীল বা কম্পনশীল হয়ে যায়। এর জন্য বস্তুর আরো বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়।  তাই বস্তুর আকারের পরিবর্তন…

আদর্শ গ্যাস থেকে বাস্তব গ্যাসের বিচ্যুতির কারণ কী?

এর কারণগুলি হল- (i) আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে ধরা হয় যে গ্যাসের অণুগুলির আয়তন পাত্রের তুলনায় নগণ্য।  কিন্তু সূক্ষ্মভাবে বিচার করলে দেখা যাবে  অণুগুলির আয়তন কিছুটা হলেও আছে। তাই…

রাসায়নিক বন্ধন Notes Class 10-NaCl অনুর অস্তিত্ব নেই কেন?

NaCl অনুর অস্তিত্ব নেই কেন?

  একটি তড়িৎযোজী যৌগ। সোডিয়াম পরমাণু একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে ও ক্লোরিন পরমাণু সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে তৈরি করে। যা তীব্র তড়িৎ আকর্ষণ বলের জন্য কাছাকাছি অবস্থান করে।…

 হাইড্রোজেনকে দুষ্ট মৌল বলা হয় কেন?

 হাইড্রোজেনকে দুষ্ট মৌল বলা হয় কেন?

 হাইড্রোজেনকে দুষ্ট মৌল বলা হয় কেন? => মেন্ডেলিফ পর্যায় সারণিতে হাইড্রোজেনকে বসানোর সময় লক্ষ্য করেন যে এই মৌলটির কিছু ধর্ম Gr-IA এবং Gr-VIIB (হ্যালোজেন) এর সঙ্গে মিলে যায়।…

দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক, ক্ষেত্রফল প্রসারণ গুণাঙ্ক ও আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক-এর মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় কর।

দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক, ক্ষেত্রফল প্রসারণ গুণাঙ্ক ও আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক-এর মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় কর।

ধরি,একটি ঘনকের প্রাথমিক দৈর্ঘ্য ।  θ পরিমাণ উষ্ণতা বৃদ্ধিতে দৈর্ঘ্য হয় দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক α হলে,                                  (1) or, [উভয় পাশে বর্গ করে পাই] or,      …

রাসায়নিক বন্ধন Notes Class 10-NaCl অনুর অস্তিত্ব নেই কেন?

রাসায়নিক বন্ধন Notes Class 10

রাসায়নিক বন্ধন এই মহাবিশ্বে যতগুলি মৌল রয়েছে তাদের মধ্যে নিষ্ক্রিয় মৌলগুলির কক্ষপথে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে। এই অবস্থায় মৌলগুলি সর্বনিম্ন শক্তিস্তরে অবস্থান করে।    অন্যান্য মৌলগুলিও ইলেকট্রন গ্রহণ,…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *