Table of Contents
Toggleতড়িৎ বলরেখা
তড়িৎ বলরেখা কাকে বলে?
তড়িৎক্ষেত্রে প্রতিটি বলরেখা হল এমন একটি রেখা যার প্রতিটি বিন্দুতে অঙ্কিত স্পর্শক ওই বিন্দুতে মুক্ত ধনাত্মক আধানের ওপর ক্রিয়াশীল বলের, অর্থাৎ তড়িৎক্ষেত্রের অভিমুখ নির্দেশ করে।
বলরেখার চিত্রে তিরচিহ্নের সাহায্যে দিক নির্দেশ করা হয়।
বলরেখাগুলির কোনো বাস্তব অস্তিত্ব নেই।
তড়িৎ বলরেখার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
[i] তড়িৎ বলরেখাগুলি ধনাত্মক আধান থেকে শুরু করে ঋণাত্মক আধানে শেষ হয়। কোনো পরিবাহীর অভ্যন্তরে কোনো বলরেখা থাকতে পারে না। একটি বিচ্ছিন্ন (isolated) ধনাত্মক আধান থেকে বলরেখাগুলি নির্গত হয়ে অসীমে গিয়ে শেষ হয় এবং বিচ্ছিন্ন ঋণাত্মক আধানের ক্ষেত্রে বলরেখাগুলি অসীম থেকে এসে আধানের ওপর শেষ হয়। তড়িৎ বলরেখা বদ্ধরেখা নয় ।
[ii] দুটি বলরেখা কখনও পরস্পরকে ছেদ করে না। কারণ বলরেখা দুটি একটি বিন্দুতে ছেদ করলে ছেদবিন্দুর মধ্য দিয়ে দুটি বলরেখার জন্য ভিন্ন দিকে দুটি স্পর্শক টানা যায়। সেক্ষেত্রে একটি বিন্দুতে তড়িৎক্ষেত্রের দুটি দিক থাকত, যা সম্পূর্ণ অসম্ভব।
[iii] তড়িৎ বলরেখাগুলি পরিবাহী পৃষ্ঠকে লম্বভাবে স্পর্শ করে।
[iv] তড়িৎ বলরেখাগুলি টান করা স্থিতিস্থাপক সুতোর মতো দৈর্ঘ্য বরাবর সংকুচিত হওয়ার চেষ্টা করে। বলরেখার এই ধর্মের সাহায্যে দুটি বিপরীত আধানের মধ্যে আকর্ষণ ব্যাখ্যা করা হয় ৷
[v] তড়িৎ বলরেখাগুলি পরস্পরকে পাশের দিকে অর্থাৎ দৈর্ঘ্যের লম্বদিকে বিকর্ষণ করে। এই ধর্মের সাহায্যে দুটি সম-আধানের মধ্যে বিকর্ষণ ব্যাখ্যা করা হয়।
[vi] একই পরিবাহীতে কোনো তড়িৎ বলরেখারই শুরু ও শেষ হয় না। এ থেকে সিদ্ধান্ত করা যায় যে, কোনো ফাঁপা পরিবাহীর অভ্যন্তরে কোনো বলরেখা থাকে না ।
[vii] বলরেখাগুলি ঘনসন্নিবিষ্ট হলে সেখানে তড়িৎক্ষেত্রের মান বেশি এবং বলরেখাগুলির ঘনত্ব কম হলে তড়িৎ ক্ষেত্রের মানও কম হয়।